বহু যুগ ধরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘি খুবই প্রয়োজনীয় খাদ্য রূপে পরিচিত। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি এর বিশেষ ব্যবহার পাওয়া যায় আমাদের শরীরের জন্য।
ঘি এর মধ্যে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, এবং প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। তাই শীতকালে ঘি খাওয়ার উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ঘি প্রস্তুত হয়?
গরুর দুধকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ ফুটিয়ে বা জ্বাল দিয়ে মন্থন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘি প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত ঘি আমাদের ভারতবর্ষে প্রতিটি অঞ্চলে খুবই সহজলভ্য। যদিও ঘি এর গুণমান অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
ঘি খাওয়ার উপকারিতা :
এক টেবিল চামচ ঘি এর মধ্যে পাওয়া যায়,
- ক্যালোরি ১৪০,
- ফ্যাট ১৫ গ্রাম, (মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট)
- ভিটামিন এ,
- ভিটামিন ই,
- ভিটামিন কে,
এছাড়াও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস।
- ঘি এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, ভিটামিন এ পাওয়া যায়, ভিটামিন এ সাহায্য করে আমাদের চোখ, ত্বক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে উন্নত করতে। তাই ঘি খাওয়ার উপকারিতা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
- ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, বিশেষ করে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের হৃদয়ের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই নিয়মিত ঘি খেলে বা গ্রহণ করলে আমাদের হৃদয় সম্পর্কিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
- ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটি CLA ( কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড )। এই CLA সাহায্য করে আমাদের মেটাবলিজম রেট কে বৃদ্ধি করতে এবং শরীরের ফ্যাট বা চর্বিকে কম করতে। তাই নিয়মিত ঘি খেলে বা গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের ওজন কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আন্টি-ইনফেমেটরি উপাদান পাওয়া যায়। তাই আমাদের ত্বকের উপর পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতস্থানে আমরা ঘি এর ব্যবহার করতে পারি। যা ওই পুড়ে যাওয়া বা ক্ষতস্থানকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ঘি গ্রহণ করলে চুল এবং ত্বক অনেক উন্নত হয়।
- আমাদের শরীরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা আছে ৯৬ থেকে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শীতকালে বাতাসের তাপমাত্রা অনেক কমে যায় যার ফলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, শরীরকে অনেক বেশি ক্যালোরি ক্ষয় করতে হয়। ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট পাওয়া যায় যেরকম, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই গুড ফ্যাটের ক্যালোরি অনেক বেশি যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয় হয়ে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রবল শীতেও আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
সম্পর্কিত প্রবন্ধ : সত্যি কি গুড় চিনির থেকে ভালো? আদৌ কি গুড় খাওয়ার উপকারিতা শরীরের জন্য ভালো!
ঘি খাওয়ার অপকারিতা :
কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো না বিশেষ করে ঘি। অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি খেলে বা গ্রহণ করলে আমাদের মধ্যে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেরকম,
- ঘি এর মধ্যে ফ্যাট অনেক বেশি পরিমাণ থাকে তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি খেলে আমাদের হৃদয় সম্পর্কিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যেহেতু ঘি দুগ্ধজাত দ্রব্য দিয়ে তৈরি হয় তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি খেলে বা গ্রহণ করলে আমাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
- অনেক মানুষ আছে যাদের ঘি গ্রহণের পর বিভিন্ন রকম এলার্জি দেখা দেয়।
সম্পর্কিত প্রবন্ধ : পান পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অবিশ্বাস্য ৯ টি তথ্য
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ঘি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একবার আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।
Thank you everyone for coming to our website www.healthybangla.in and a warm welcome to all of you.
Hi, my name is Arunima Morial and I am from Kolkata, India.
I have been writing health related articles for the last 5 years.
All the articles me and my team write are always reviewed by Sagar Ghosh (Science Graduate, Location- Shyamnagar, West Bengal).
We always share the reference web page link from where we get correct information in the article.
Please feel free to contact me on my email ID sg133322@gmail.com