প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতের বেলা যদি আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে পরের দিন আমাদের খুব অসুবিধা হয়।আমরা যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাই তাহলে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে সুবিধা হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হলো আমাদের নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, টক্সিন নামক পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে দিনের বেলা তন্দ্রা ভাব এবং অলসতা বেড়ে যায়। কাজে মনোযোগের অভাব দেখা যায় এবং মাথা যন্ত্রণা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়।
রাতের বেলা ঘুম আসে না কেন? এটি এখনকার দিনে খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন। তাই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় হল রাতে ঘুম না আসার কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে।
রাতে ঘুম না আসার কারণ ও তার প্রতিকার :
রাতে ঘুম আসেনা বা বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায় এই সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই ভুক্তভোগী। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই ঘুম কমে যাওয়া বা ঘুম পাতলা হয়ে যাওয়া এরকম লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আসক্তির কারণে এই সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেউ কেউ তো আবার এই অনিদ্রাকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে।
ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা:
ঘুম আমাদের শরীরও মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়। যার ফলে পরের দিন আমাদের কোন অসুবিধা হয় না আমরা কর্মক্ষম থাকতে পারি। কিন্তু অনেক মানুষের মধ্যে অনিদ্রা সমস্যা দেখা দেয়। তারা রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে বা অল্প ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, আবার কারো কারো মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় অনেক চেষ্টার পর আর ঘুম আসে না।
আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলোকে খুব সাধারণভাবে নিয়ে থাকি বেশি গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সারাদিনের কাজকর্মের পরে শরীরও মস্তিষ্কের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ঘুম হল সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার মূল চাবিকাঠি। এই ঘুম না আসার সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে অসুখে পরিণত হয়।একেই বলা হয় ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা।
ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশের অভাব:
আমরা যে রুম বা কক্ষে ঘুমাই সেখানে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশের অভাব দেখা যায়। সেখানে রুমের তাপমাত্রা যদি সঠিক না থাকে বা সেখানে যদি কোন রকমের শব্দ বা যানবাহনের আওয়াজ আসে বা বাইরে থেকে কোন রকমের আলো আসে তাহলে আমাদের ঘুম ব্যাহত হবে। তাই ঘুমের জন্য সঠিক পরিবেশ ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অত্যাধিক পরিমাণে মানসিক দুশ্চিন্তা:
আমাদের ওপরে যদি দায়িত্ব-কর্তব্য বা কোন মানসিক চাপ বা কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি ঘটে তখনই আমাদের মধ্যে অত্যাধিক পরিমাণে মানসিক দুশ্চিন্তা দেখা যায় যার ফলে আমরা সঠিকভাবে ঘুমোতে পারি না।
সম্পর্কিত প্রবন্ধ : ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত বিষয়ে জানা আছে তো?
রেস্ট লেস লেগ সিনড্রোম:
এই সমস্যায় যারা ভুক্তভোগী তাদের শরীরে এক প্রকারের অস্বস্তি অনুভূত হয়। বিছানায় শুয়ে যখন রেস্ট নেওয়া হয় তখন এই সমস্যাটি বেশি মাত্রা দেখা যায়। পায়ে ব্যথা বা যন্ত্রণা হতে পারে। এরকম অস্বস্তি এড়াতে অনেকেই হাত পা নাড়তে থাকেন, এতে করে হয়তো খানিকটা স্বস্তি মিললেও রাতের সঠিক পরিমাণ ঘুম কিন্তু আর হয় না।
ফোন ল্যাপটপ ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের অতিমাত্রায় ব্যবহার:
আমরা অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে ফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। এর ফলে আমাদের ঘুম আসতে দেরি হয়। আমাদের মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যায় আর ঘুম আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। রাতে ঘুম না আসার কারণ হিসেবে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অতিমাত্রার ব্যবহার অনেকাংশে দায়ী।
নার্কোলেপসি:
এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা কাজ করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন, এরা সারাদিন ক্লান্ত অনুভব করেন। এদের ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার চক্রটাই ঠিক থাকে না। এরা হঠাৎ হাসলে বা রাগলে বা উত্তেজিত হলে এদের মাংসপেশির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যায় এবং এরা হঠাৎ করেই পড়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই সমস্ত সমস্যা রাতের বেলা যদি হয় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না।
ক্যাফাইন নিকোটিন এবং মাদক দ্রব্য সেবন :
অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে চা, কফি, তামাক জাতীয় দ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য সেবন করে ঘুমোতে যায়। আসলে মনে করা হয় যে এই সমস্ত খেলে খুব ভালো ঘুম হবে কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল। এই জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে আমাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় এবং আমাদের ঘুম আসার প্রবণতা অনেক কমে যায়।
শরীর চর্চা না করার কারণে:
আমরা যদি নিয়মিত শরীর চর্চা করি তাহলে আমাদের শরীর অনেক বেশি সুস্থ থাকবে, সাথে শরীর থেকে ক্যালোরিও ক্ষয় হবে।নিয়মিত শরীরচর্চা বা এক্সেসাইজ করলে রাত্রিবেলা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে আমাদের দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু যারা ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করে না তাদের শরীরে ক্লান্তি ভাব আসে না আর ঘুমও ভালো মতন হয় না। নিয়মিত শরীরচর্চা না করা রাতে ঘুম না হওয়ার আরেকটি কারণ।
অত্যাধিক পরিশ্রমের কারনে :
আমরা যদি প্রতিদিন অত্যাধিক পরিশ্রম করি তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে, যেমন হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা ইত্যাদি আর এই ব্যথা হওয়ার ফলে আমাদের ঘুম আসতে চায়না।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে :
আমরা অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। ওই সমস্ত ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমাদের মধ্যে ঘুম আসার প্রবণতা অনেক কমে যেতে পারে। যদিও এই বিষয়ে আরো অনেক তথ্যের প্রয়োজন আছে।
এছাড়াও রাতে ঘুম না হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে যেমন সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ না করা, অনিয়মিত ঘুমের রুটিনের কারণে, ঘুমের আগে স্নান না করার জন্য, শরীরে বিভিন্ন রোগের কারণে ইত্যাদি।
রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার :
আমরা এতক্ষণ জানলাম রাতে ঘুম না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে। কিন্তু রাতে ঘুম না আসার জন্য করনীয় বা প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া খুবই প্রয়োজন। তাই আসুন এবার আমরা জেনে নিই রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আমরা কি কি পন্থা অবলম্বন করব,
প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যাওয়া :
ঘুমের জন্য আমাদের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রতিদিন একই সময় ঘুমোতে যেতে হবে এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা ঘুমোনোর সময়কাল কে নিয়মিত রাখে এবং ধীরে ধীরে আমাদের শরীর ও সময়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যায়। রাতে ঘুম না আসার প্রতিকার বিষয়ে আলোচনায় নির্দিষ্ট রুটিন নির্ধারণ করে জীবন যাপন ভীষণভাবে আবশ্যক।
সম্পর্কিত প্রবন্ধ : অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে অবিশ্বাস্য ৯ টি তথ্।
ঘুমের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ :
যে রুম বা কক্ষের মধ্যে আমরা ঘুমোই সেই রুমে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। রুম বা কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শান্ত নিঃশব্দ পরিবেশে আমাদের ঘুম খুব ভালো হয়, তাই খেয়াল রাখতে হবে যেখানে আমরা ঘুমাই সেখানে যেন খুব বেশি আওয়াজ বা শব্দ না হয়। অর্থাৎ আপনার বিছানা এবং শোবার ঘর যাতে আরামদায়ক হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ করা :
রাতে ঘুমের সমস্যা দূর করতে চাইলে, আমাদের ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে। এগুলি ব্যবহারের ফলে আমাদের ঘুম আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় এবং সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া হয় না।
চা-কফি থেকে দূরে থাকা :
চা কফি খেলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয় তাই ঘুমোতে যাওয়ার ১ থেকে ২ ঘন্টা পূর্বে চা কফি ইত্যাদি পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এর প্রভাব শরীরে থেকে যায় দীর্ঘক্ষন ধরে যার ফলে আমাদের ঘুম আসার প্রবণতা অনেক কমে যায়।
নিয়মিত শরীর চর্চা করা :
আমাদের নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে । ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্য নয় আমাদের ঘুমের জন্য ভীষণভাবে উপকারী।নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের শরীরে একটা ক্লান্তি ভাব আসবে এবং এর ফলে আমাদের ঘুম ভালোভাবে হবে।
রাত জেগে কাজ না করা :
অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন বা পড়াশোনা করে থাকেন এর প্রভাব কিন্তু স্বাস্থ্যের উপরে পড়ে, স্বাস্থ্য জনিত অনেক সমস্যা দেখা যায়। যারা রাত জেগে কাজ করেন তারা কিন্তু দিনের বেলায় ঘুমিয়ে নিয়ে রাতের ঘুমের অভাব মিটিয়ে নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা ঠিক নয় কারণ দিনের বেলার ঘুম আমাদের তেমন গভীর হয় না, তাই রাতের বেলা সঠিক পরিমাণ ঘুম আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন:
রাতের বেলা আমাদের হালকা খাবার খেতে হবে, ভারী তেল মশলাযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। তাই রাতে হালকা খাবার খেতে হবে যার ফলে অ্যাসিডিটি অথবা গ্যাস এর সমস্যা হবার ভয় থাকবে না এবং এই জাতীয় শারীরিক সমস্যার কারণে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ:
ম্যাগনেসিয়াম একটি খনিজ পদার্থ এটি আমাদের শরীরের স্ট্রেস কম করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রকার বাদাম, অ্যাভোকাডো, ডার্ক চকলেট ইত্যাদির মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তাই নিয়মিত ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
মেলাটোনিন যুক্ত খাবার গ্রহণ:
বিভিন্ন প্রকার সবজির ফল যে রকম শসা, টমেটো, ব্রকলি, বেদানা ইত্যাদি যদি আমরা আমাদের খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করি তাহলে আমাদের ঘুমের সমস্যা দূর হবে।মেলাটোনিন শুধুমাত্র ঘুম আসতেই সাহায্য করে না ঘুমকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ও সাহায্য করে।
টেনশন ডিপ্রেশনকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে :
অনেকেরই টেনশন বা ডিপ্রেশনের কারণে রাতের বেলায় ভালোভাবে ঘুম হয় না। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমাদের এই সমস্ত টেনশন বা চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে যার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক চিন্তা মুক্ত থাকে আর ঘুম ভালোভাবে হয়।
রিলাক্স মুডে ঘুমোতে যেতে হবে :
প্রতিদিন ঘুমোতে যাবার পূর্বে আমাদের এমন কিছু একটা করতে হবে যাতে আমরা রিল্যাক্স ভাবে ঘুমোতে যেতে পারি এবং আমাদের শরীরও মন চাপমুক্ত থাকে। যারা গান শুনতে ভালোবাসেন তারা লো সাউন্ডে গান শুনতে পারেন, কেউ কেউ বই পড়তে পারেন, আবার মেডিটেশন বা ধ্যানও করতে পারেন।
রাতে ঘুম না আসার কারণ ও তার প্রতিকার বিষয়ে আলোচনায় উপরে উল্লেখিত এই সমস্ত ছোট ছোট বিষয়গুলোকে আপনারা যদি মাথায় রেখে চলতে পারেন তাহলে ঘুম না আসার সমস্যা থেকে খুব সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন। সহজ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হলে রাতের বেলায় একই সময় ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময় উঠে পড়ুন। প্রয়োজন হলে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। কিছুদিন এরকম নিয়মমাফিক চললে খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে যেতে পারবেন।
Thank you everyone for coming to our website www.healthybangla.in and a warm welcome to all of you.
Hi, my name is Arunima Morial and I am from Kolkata, India.
I have been writing health related articles for the last 3 years.
All the articles me and my team write are always reviewed by Sagar Ghosh (Science Graduate, Location- Shyamnagar, West Bengal) and Dr Gautam Ghosh (B.H.M.S, M.D in Homoeopathy, Location- Shyamnagar, West Bengal).
We always share the reference web page link from where we get correct information in the article.
Please feel free to contact me on my email ID sg133322@gmail.com